হঠাৎ বুকে প্রচণ্ড ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা ঘাম—এই মুহূর্তগুলি জীবন বদলে দিতে পারে। এটাই হতে পারে হার্ট অ্যাটাক । কিন্তু হার্ট অ্যাটাক কেন হয়? আমরা কীভাবে তা চিনব? আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
হৃদয়কে প্রতিনিয়ত রক্ত সরবরাহ করে যে ধমনিগুলি, তাদের নাম করোনারি আর্টারি । কিন্তু যখন এই ধমনিগুলিতে চর্বি ও অন্যান্য পদার্থ জমে, তখনই ঘটে Coronary Artery Disease বা সংক্ষেপে CAD ।
“কোলেস্টেরল” শব্দটি শুনলেই ভয় পেয়ে যান অনেকেই। কিন্তু সত্যি কি কোলেস্টেরল সবসময়ই ক্ষতিকর? না! কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। কিন্তু যখন এর পরিমাণ বা ধরনে গড়মিল হয়, তখনই বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি।
ধমনী বা আর্টারি হল রক্ত বহনকারী সেই পথ, যা হৃদয় থেকে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেয়। কিন্তু কল্পনা করুন, সেই পথ যদি সরু হয়ে যায় বা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে কী হবে? এই বিপজ্জনক অবস্থার নামই হল অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস (Atherosclerosis) —ধমনীতে চর্বি, কোলেস্টেরল ও অন্যান্য পদার্থ জমে ব্লক তৈরি হওয়া।
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন শুধু একটি সংখ্যা নয়—এটি নিঃশব্দে আমাদের হৃদয়কে ক্ষয় করে দেয়। রক্তচাপ যখন দীর্ঘ সময় ধরে স্বাভাবিক মাত্রার ওপরে থাকে, তখন হৃদয়কে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে শুরু হয় ধীরে ধীরে ক্ষয়।
“নিরব ঘাতক”—এই নামে পরিচিত একটি রোগ হল হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ । অনেকেই জানেন না যে তারা এই রোগে ভুগছেন, কারণ এটি প্রায়ই কোনো উপসর্গ ছাড়াই ধীরে ধীরে শরীরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।