হার্ট অ্যাটাক: কারণ, উপসর্গ এবং প্রতিরোধ

হঠাৎ বুকে প্রচণ্ড ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা ঘাম—এই মুহূর্তগুলি জীবন বদলে দিতে পারে। এটাই হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। কিন্তু হার্ট অ্যাটাক কেন হয়? আমরা কীভাবে তা চিনব? আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

Medical Talks


হার্ট অ্যাটাক কী?

হার্ট অ্যাটাক, চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে Mayocardial Infarction বলা হয়, ঘটে যখন হৃদয়ের কোন অংশে রক্ত চলাচল হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সেই অংশ অক্সিজেন না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মরে যায়।

Heart Attack Blocked Artery
হার্ট অ্যাটাকের সময় আর্টারি ব্লক হয়ে যায়

কারণসমূহ

  • Atherosclerosis: ধমনিতে প্লাক জমে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়া
  • রক্ত জমাট বাঁধা: হঠাৎ ব্লক তৈরি করে
  • বেশি মানসিক চাপ: রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়
  • ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল
  • ধূমপান ও মদ্যপান

প্রধান লক্ষণসমূহ

  • বুকে চাপ বা ব্যথা, যা হাত, ঘাড়, পিঠ বা চোয়ালে ছড়িয়ে পড়তে পারে
  • শ্বাসকষ্ট
  • ঠান্ডা ঘাম ও মাথা ঘোরা
  • বমি ভাব বা পেটব্যথা
  • হঠাৎ দুর্বলতা ও ক্লান্তি

মনে রাখবেন: মহিলাদের ক্ষেত্রে উপসর্গ ভিন্ন হতে পারে, যেমন ক্লান্তি, হালকা বুকে অস্বস্তি, বমি ইত্যাদি।


কী করবেন হার্ট অ্যাটাক হলে?

  • প্রথমেই ১০০ নম্বরে ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন
  • রোগীকে বসিয়ে রাখুন এবং শান্ত থাকার চেষ্টা করুন
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যাসপিরিন খাওয়া যেতে পারে (যদি এলার্জি না থাকে)

প্রতিরোধে করণীয়

  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
  • উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন
  • ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ করুন
  • প্রতিদিন ব্যায়াম করুন ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন
  • স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখুন

উপসংহার

হার্ট অ্যাটাক জীবননাশকারী হলেও, সচেতনতা ও দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে অনেক প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব। নিজের ও প্রিয়জনদের হৃদয়কে সুস্থ রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

❤️ আজই জীবনযাপন পরিবর্তন করুন, হৃদয়কে দিন নতুন জীবন।


পড়ে ভালো লাগলে, অবশ্যই Like, Share আর Subscribe করতে ভুলবেন না!
আর মন্তব্যে জানান—আপনার আর কী জানতে ইচ্ছে করছে!


Image Attribution: সকল চিত্র Wikipedia (Wikimedia Commons) থেকে নেওয়া হয়েছে, CC License অনুযায়ী ব্যবহৃত।

Comments