হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ): যা আপনার জানা উচিত
“নিরব ঘাতক”—এই নামে পরিচিত একটি রোগ হল হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ। অনেকেই জানেন না যে তারা এই রোগে ভুগছেন, কারণ এটি প্রায়ই কোনো উপসর্গ ছাড়াই ধীরে ধীরে শরীরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
হাইপারটেনশন কী?
যখন রক্ত ধমনীর দেয়ালে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চাপ সৃষ্টি করে, তখন তাকে হাইপারটেনশন বলা হয়। রক্তচাপ ১৪০/৯০ mmHg বা তার বেশি হলে সেটি উচ্চ রক্তচাপ ধরা হয়।
উচ্চ রক্তচাপের ধরণ
- প্রাথমিক (Primary): কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়।
- দ্বিতীয়িক (Secondary): কিডনি, হরমোন বা ওষুধজনিত সমস্যার কারণে হয়।
উচ্চ রক্তচাপের কারণসমূহ
- অতিরিক্ত লবণ খাওয়া
- মানসিক চাপ
- অভ্যাসগত ধূমপান বা অ্যালকোহল
- বংশগত প্রবণতা
- ওজন বেশি হওয়া ও ব্যায়ামের অভাব
|
| High Blood Pressure Measurement |
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ
অধিকাংশ সময়ে কোনো উপসর্গ থাকে না। তবে কখনও কখনও দেখা দিতে পারে:
- মাথাব্যথা
- চোখে ঝাপসা দেখা
- বুকে ব্যথা
- শ্বাসকষ্ট
- হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া
জটিলতা ও বিপদ
অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে:
- স্ট্রোক
- হার্ট অ্যাটাক
- কিডনি বিকল
- চোখের ক্ষতি
- হার্ট ফেইলিওর
প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ
- লবণ খাওয়া কমানো
- নিয়মিত ব্যায়াম
- ওজন নিয়ন্ত্রণ
- ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার
- নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা
- চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ গ্রহণ
উপসংহার
হাইপারটেনশন এক নীরব রোগ, কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা ও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আপনার হৃদয় এবং মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে আজ থেকেই সচেতন হোন।
❤️ স্বাস্থ্যই সম্পদ, আর সেই সম্পদের মূল চাবিকাঠি—স্বাভাবিক রক্তচাপ।
পড়ে ভালো লাগলে, অবশ্যই Like, Share আর Subscribe করতে ভুলবেন না!
আর মন্তব্যে জানান—আপনার আর কী জানতে ইচ্ছে করছে!
Image Attribution: সকল চিত্র Wikipedia (Wikimedia Commons) থেকে নেওয়া হয়েছে, CC License অনুযায়ী ব্যবহৃত।
Comments
Post a Comment
💬 We would love to hear from you! Your feedback is always appreciated and helps us to improve. 😊